মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে জানুন

আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবৎ মাথা ব্যথা নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই পোস্টটি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি মাথা ব্যথা  নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মাথা ব্যথা এর বেশ কিছু কারণ এবং মাথা ব্যাথা কোন কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে এ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আপনার জন্য জরুরী।আর আপনার যদি এ সকল জ্ঞান না থাকে সেক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে পারবেন না তাই মাথা ব্যাথা থেকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ কোন রোগের মধ্যে আপনি জড়িয়ে যেতে পারেন। আর এ কারণেই মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে সে বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত। 

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে জানুন

কমবেশি সকলেরই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে আর এ ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট থেকে শুরু করে এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো সেবন করে থাকে। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতির মাত্রা বেশি। তাই ওষুধ সেবন ছাড়া মাথাব্যথা যে সকল রোগের লক্ষণ হতে পারে সে বিষয়ে জেনে এবং মাথাব্যথার কারণ গুলো জেনে সচেতনতার সাথে জীবন যাপন করলে মাথাব্যথা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন। চলুন আমরা মাথা ব্যাথা সম্পর্কিত কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তার সূচিপত্র টি দেখে নিই। 

পেজ সূচিপত্রঃ

মাথা ব্যথা কি

মাথা ব্যথা কি এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই বলে দিব যে মাথা ব্যথা কোন রোগ নয়। এটি একটি উপসর্গ মাত্র। ডিপ্রেশন কিংবা অতিরিক্ত চিন্তায় থাকার কারণে এবং মাথায় রক্তচাপ বা রক্ত প্রবাহের চাপ বেড়ে গেলে এছাড়া বিভিন্ন কারণে মাথায় যে যন্ত্রণার আবির্ভূত হয় সেটাকেই আমরা মাথাব্যথা বলে থাকি। মানুষের বিসাদময় জীবন যাপনের কারণে মাথাব্যথা ও হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মাথা ব্যথা কি বা কোন বিষয়কে আমরা মাথাব্যথা বলতে পারি। 

মাথা ব্যথার কারণ কি

বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে কিন্তু আপনি যদি মাথা ব্যথার কারণ সম্পর্কে না জানেন এবং সচেতনতার সাথে জীবন যাপন না করে সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা আপনার ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই মাথা ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী যার কারণে আপনি সচেতনতার সাথে চলাফেরার মাধ্যমে মাথা ব্যথা এর ঝুঁকি থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে পারবেন। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে অতিরিক্ত চিন্তা, ঘুম কম হওয়া, ফ্যামিলিগত বা পারিবারিক অশান্তির কারণে বিষাদময় জীবনযাপন, মানসিক টেনশন, ধোকা খাওয়া, মাইগ্রেনের ব্যথা, অতিরিক্ত গরমে এবং অতিরিক্ত শরীর ঘেমে, জ্বর থেকে মাথা ব্যাথার উৎপত্তি, ইত্যাদির কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। 

মাথা ভারী লাগার কারণ কি

মাথা ভারী লাগা বা মাথা ঘোরা এগুলোর মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি যে মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরার কারণেই আমাদের মাথা ভারী ভারী লাগে। কিন্তু আমাদের জানতে হবে যে মাথা ভারী লাগার কারণ কি বা কেন মাথা ভারী লাগে। সেক্ষেত্রে মাথা ভারী লাগার বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য কারণগুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। মাথা ভারী লাগার প্রথম কারণ হচ্ছে মাথার পিছনে যদি ব্যথা হয় বা অতিরিক্ত টেনশনের ফলে  মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার কারণে মাথা ভারী লাগতে পারে।


এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর দুর্বলতা কিংবা হঠাৎ করে মুখ হাত-পা ইত্যাদি এর সমস্যা জনিত কারণে মাথা ভারী লাগতে পারে। এছাড়া চোখের সমস্যার কারণে ও মাথা ভারী লাগতে পারে। আবার কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চুল বড় রাখার কারণে ও মাথা ভারী লাগতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে এসব বিষয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে তাহলে আপনি এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনি ইতিমধ্যেই মাথা ভারী লাগার কারণ জানতে পেরেছেন তাই এ সকল বিষয়গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। 

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

মাথা ব্যথা হলেই আমরা অনেকে মনে করি যে আমাদের মাথার হয়তো বড় কোনো সমস্যা হয়েছে কিন্তু মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এর সম্পর্কে আপনার বা কারো যদি কোন ধারণা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যেকোন বিষয় ধরে নিতে পারেন যে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে কিনা। যেহেতু মাথা ব্যাথা বিভিন্ন কারণ রয়েছে সেক্ষেত্রে একদম বলা যাবে না যে মাথাব্যথা বা কোন ধরনের মাথা ব্যথার কারণে কোন ধরনের রোগ হয় এবং আপনি সবগুলোকে এক পাল্লায় রাখতেও পারবেন না। তাই মাথা ব্যথার কারণ ভেদে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। যেমন আপনার যদি অতিরিক্ত চিন্তার কারণে মাথাব্যথা হয় কিংবা ঘুমের অভাবে মাথাব্যথা হয় সেক্ষেত্রে আপনার তেমন কোন বড় ধরনের রোগ এর লক্ষণ দেখা দিবে না। 

সে ক্ষেত্রে আপনি বিশ্রাম জীবন যাপন ও ঘুমের ঘাটতি পূরণ করলেই মাথা ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যদি মাথায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় কিংবা মাথার রক্ত চলাচলের পেশি সঞ্চালিত না হয় সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে ব্রেইন স্টোক সহ প্যারালাইসিস এর মত সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগে সিটি স্ক্যান এর মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার মাথা ব্যাথার কারণ সম্পর্কে বা এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। তাই অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। 

মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায়

আপনি ইতিমধ্যে মাথা ব্যাথার কারন গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং মাথা ব্যাথার কারণ থেকে কোন ধরনের রোগ হতে পারে সে সকল বিষয়ে অবগত হয়েছে। চলুন এখন আমরা জানার চেষ্টা করি যে মাথাব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আপনি কোন কোন বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারে। কেননা মাথাব্যথা এমন একটি ব্যাধির মত উপসর্গ যা একদম বিরক্তিকর একটি বিষয়। তাই মাথা ব্যথা করার জন্য আপনাকে মাথায় ঠান্ডা তেল ব্যবহার করতে হবে এবং মাথা মেসেজ করতে হবে। এছাড়া ইসলামিক উপায়ে সূরা তাকাছুর তেলাওয়াত করলে মাথা ব্যথা নিরাময় হয়। এবং আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন কেননা আপেল মানুষের মস্তিষ্কের দুর্বলতা নিয়ে মস্তিষ্ককে আরো সুগঠিত করে তোলে। 


আপনি এই বিষয়গুলোকে অবলম্বন করে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এবং অতিরিক্ত চিন্তা টেনশন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন খুব অবসাদগ্রস্ত জীবন যাপন করলে ভ্রমণে বেরিয়ে যান এতে আপনার মস্তিষ্ক ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। পরিবারের সাথে কথা বলুন একাকীত্ব জীবন এড়িয়ে চলুন তাহলে আপনার টেনশন দূর হবে এবং মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আমি ইতোমধ্যে ধরে নিয়েছি যে আপনি মাথা ব্যাথার মুক্তির উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত হয়েছেন। 

মাথাব্যথা কতটা বিপদজনক হতে পারে

মাথা ব্যথা খুব ভালো বা গ্রহণযোগ্য বিষয় নয়। এর ভয়াবহতা অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে।প্রাথমিক অবস্থায় মাথা ব্যাথা কে আপনি যদি খুব বেশি গুরুত্ব না দেন সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে স্ট্রোক এবং প্যারালাইসিস এর মত জটিল সমস্যা হতে পারে। এতে আপনার প্রাণনাশ ঘটতে পারে। তাই মাথাব্যথা কে হেলায় না ফেলিয়ে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। এবং অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে সে ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। 

অতিরিক্ত গরমে মাথা ব্যথা হওয়ার কারণ

আপনি হয়তো জানবেন না যে অতিরিক্ত গরমের কারণেও আমাদের মাথাব্যথা হতে পারে। কেননা অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীর অতিরিক্ত ঘামে এর কারণে লবণ এবং পানি ঘামের সাথে বের হয়। যাতে আমাদের শরীরের শারীরিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর কারণে মাথাব্যথা এবং মাথা ঝিমঝিম করার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত খরায় কিংবা অতিরিক্ত গরমে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এবং পানি শুন্য বা আমাদের শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করা উচিত। আশা করছি আপনি এই পুরো পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং মাথাব্যথা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তাই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ । 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url