অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

বিভিন্ন উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী কিছু উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন আমরা সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করি কিভাবে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

পুরো পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করছি আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের পথ নিজে থেকেই সুগম করে নিতে পারবেন। চলুন কোন কোন উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সে সকল বিষয়াদি সূচিপত্রের মাধ্যমে জেনে নিই।

সূচিপত্রঃ

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় 

চলুন এখন আমরা জেনে নিই যে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে প্রথমত দক্ষ হতে হবে তার আগে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন ক্যাটাগরি কাজ করবেন এবং কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন সেটা হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন ওয়েব ডিজাইন কনটেন্ট মার্কেটিং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি। আপনি যদি এসব বিষয়ে দক্ষ হন তাহলে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের উপর অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেতে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাইট রয়েছে তার মধ্যে ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।

আরো পড়ুন: ব্লগিং থেকে আয় করতে কি কি লাগে জানুন

মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার যে ক্যাটাগরিতে আপনি দক্ষ সেই ক্যাটাগরির গীগ পাবলিস্ট করতে হবে এবং গিগ কি সে বিষয়ে জানার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন। পাবলিশের পর আপনি গীগ মার্কেটিং করবেন এবং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এর সাথে কানেক্টিভিটি বাড়িয়ে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তাদের কাজগুলো সততার সাথে এবং মৌলিকতা দেখিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ইনকাম করার বিকল্প কিছু নেই।  

ঘরে বসে গুগল এডসেন্স থেকে আয় 

ঘরে বসেই আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকামের বেশ কিছু পলিসি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম। আপনি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে সহকারি প্রতিষ্ঠান এডসেন্সের সাথে এড যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন। সেখান থেকে আপনাকে প্রতি ভিউ অথবা প্রতি ক্লিক থেকে একটি কমিশন এর মাধ্যমে গুগল আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করবে। আপনি এভাবে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে প্রতি নিয়ত ইনকাম করে যেতে পারেন। 

অ্যাফিলিট মার্কেটিং করে আয় 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। অনলাইন থেকে আয় করা বা ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। চলুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।অ্যাফিলিট মার্কেটিং বলতেই বুঝায় যে কোন একটি মাধ্যম এর সহায়তায় অন্য কোন একটি বিষয়কে প্রমোট করা বা একাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে যে কমিশন পাওয়া যায় সেটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইনকাম। মনে করুন আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখান থেকে আপনি একটি প্রোডাক্ট করেছেন অনেকগুলো মানুষের কাছে একসাথে পৌঁছে দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই টার্গেট করবেন যে কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠান অনেকগুলো মানুষের সাথে যুক্ত রয়েছে বা তাদের কানেক্টিভিটি সবচেয়ে বেশি। আপনি ঠিক তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট কে প্রমোট করতে বলবেন। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করবেন

তখন সেই ব্যক্তি যদি আপনার সেই প্রোডাক্টটি প্রমোট করে এবং অনেকগুলো মানুষের কাছে একসাথে পৌঁছে দেয় আর আপনি সেই মানুষকে কাস্টমারে কনভার্ট করে যদি আপনার বিক্রয় বাড়ান সে ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে সামান্য কিছু কমিশন দেন সেটাই হবে সেই ব্যক্তির অ্যাফিলিয়েট ইনকাম। আর আপনার যদি একটি বড় ইউটিউব চ্যানেল কিংবা বড় একটা ওয়েবসাইট থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনিও এগুলোকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রোডাক প্রমোট করে আপনি অ্যাফিলেট ইনকাম করতে পারেন। যা অনলাইন থেকে আয় করার উল্লেখযোগ্য এবং অন্যতম মাধ্যম। 

ইউটিউব থেকে আয় 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন করে ইনকাম করা। র্তমান যুগের সবাই চায় যে তার একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেখান থেকে সে নিয়মিত ইনকাম করে যাক। প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য ইউটিউব এর চেয়ে কার্যকারী আর কোন মাধ্যম হতে পারে না।প্যাসিভ ইনকাম বলতে এমন ইনকাম বুঝায় যেটা আপনি একসময় কাজ না করলেও সেখান থেকে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনকাম হতে থাকবে। এবং এক সময় আপনি পরিশ্রম করে যেতে থাকলে সেটার ফলাফল আজীবন পেতে থাকবেন সেটাকেই মূলত প্যাসিভ ইনকাম বলা হয়ে থাকে।আর ইউটিউব থেকে এই ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে একটি প্রফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে এবং আপনি যে ক্যাটাগরিতে দক্ষ সে ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানানোর জন্য সেই ক্যাটাগরি রিলেটেড চ্যানেল খুলে নিন। 

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য কি প্রয়োজন

চ্যানেল খোলার পর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে আপনি যদি প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেল একাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।  ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম তান্ত্রিকতা বা নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে এবং সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করার জন্য মুখ্য ভূমিকা রাখে। আর আপনি যদি ইউটিউবে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং তিন হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এর লক্ষ্য সম্পন্ন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে সেখান থেকে গুগল অ্যাডস যুক্ত করে ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় এবং আপনার ভবিষ্যৎকে একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম। 

ব্লগিং করে আয় 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি বিষয় রয়েছে যেটি হচ্ছে ব্লগিং। আপনি ব্লগিং থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন বা ব্লগিং কি সে বিষয়ে যদি ধারণা না থাকে সে ক্ষেত্রে ছোট করে আপনাকে বলতে চাই ব্লগিং এমন একটা মাধ্যম যেমন আপনি আমার এই ওয়েবসাইটে যে আর্টিকেল করতেছেন এইভাবে আর্টিকেল বা যেকোনো ধরনের লেখালেখির মাধ্যমে আপনি ছোট ছোট ব্লক পোস্ট করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই ব্লগিং থেকে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার অনায়াসে ইনকাম করছে। তাই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যমাত্রা। ইউটিউবের মতো ব্লগিং ও একটি প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যম। তাই আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে ব্লগিং এর বিকল্প কিছু হতে পারে না। 

আর্টিকেল লিখে আয় 

আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার সাথে ব্লগিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে যুক্ত রয়েছে। আমরা যে উপরে ব্লগিং নিয়ে আলোচনা করেছি সেটাই হচ্ছে এক প্রকার আর্টিকেল। তবে আপনি নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকামের পাশাপাশি অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে অথবা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনি ইউনিক আর্টিকেল লিখে সেগুলো বিক্রয় করার মাধ্যমে ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারেন। তাই এক্ষেত্রে বলা যায় যে আর্টিকেল লিখে বিভিন্নভাবেই ইনকাম করা যায়। আর আপনি যদি এসবের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর কোর্স করতে পারেন অথবা গুগল কিংবা ইউটিউব দেখে ফ্রিতেই এই কাজ শিখতে পারেন। এবং ভালো মানের আর্টিকেল রাইটারদের বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে বেশ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে যেমন সংবাদ পত্রিকা থেকে শুরু করে রচনা বক্তব্য ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনি আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। 

প্রিন্টিং বিজনেস করে আয় 

অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য প্রিন্টিং বিজনেস হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার সবচেয়ে বড় সহায়ক। প্রিন্টিং বিজনেস কিভাবে করতে হয় বা কিভাবে প্রিন্টিং বিজনেস করবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারনা না থাকে তাহলে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আপনি যদি প্রিন্টিং বিজনেস করতে চান এবং অনলাইনে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে চান আর পাশাপাশি আপনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম এর পথ সুগম করতে চান তাহলে পরবর্তী আর্টিকেলটি করুন। 

আরো পড়ুনঃ প্রিন্টিং বিজনেস কি এবং প্রিন্টিং বিজনেস কিভাবে করতে হয়

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url