প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই রূপচর্চা করার জন্য সঠিক পদ্ধতি না পান তাহলে এই পুরো পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয় এ বিষয়ে ধারণা পাবেন। আমরা সকলের সার্বিক দিক বিবেচনা করে আলোচনা করার চেষ্টা করব যে প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা কিভাবে করা উচিত এবং যেন আপনার স্কিন বাস সৌন্দর্যের ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য করেই সম্পূর্ণরূপে আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

সকলেই সুন্দর হতে চাই যার কারণে সবার রূপচর্চা করা প্রয়োজন। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশি রূপচর্চা করে থাকে। তবে রূপচর্চার করার জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে আধুনিক বিভিন্ন ক্রিম এর আবিষ্কার হয়েছে তবে পূর্বে মানুষ বা পূর্বের রাজা রানী কিভাবে নিজেদের রূপচর্চা করতেন বা কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতেন সে সকল বিষয় নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা। তাই ঘরে বসে আপনি যদি নিজের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আজকের এই প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার বেশ কিছু উপায় আয়ত্ত করুন। 

আলোচ্য বিষয়ঃ 

ব্রণযুক্ত ত্বকের যত্ন

ব্রণযুক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন এ ব্যাপারে যদি আপনার কোন ধারণা না থাকে তাহলে আমি আপনাকে সবচেয়ে কার্যকর কিছু ধারনা দিব। আপনার ত্বকে বা মুখমন্ডলে যদি প্রচুর পরিমাণ ব্রণ থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যে পদক্ষেপগুলো নেওয়ার মাধ্যমে আপনার ত্বকের যত্ন নিবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আপনার খাবার তালিকা পরিবর্তন করা। 

খাবার তালিকায় প্রথমত প্রচুর পরিমাণ ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে। হবে এবং জাতীয় ও ভাজাপোড়া মসলাদার খাবার বর্জন করতে হবে। ত্বক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং যদি ছেলেদের ক্ষেত্রে হয় তবে ঘন ঘন শেভ না করায়। শ্রেয় । এবং মাথার চুলে তেল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সে তেল মুখমণ্ডলের লেগে না যায়। আপনি এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

কলা মুখে দিলে কি হয়?

চলুন এখন আমরা জেনে নি যে মুখে কলা দিলে কি হয় বা মুখে কলা ব্যবহার করলে কোন উপকার গুলো হয়ে থাকে। আমরা জানি যে কলা খুবই উপকারী একটি ফল তবে আপনার রূপচর্চার ক্ষেত্রে কিংবা ত্বক রক্ষার্থে কলার ব্যবহার কেমন উপকার বয়ে আনতে পারি এই বিষয়ে জানা সবচেয়ে জরুরী। এতে আপনি ঘরোয়া উপায়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। কলা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং মুখমন্ডলের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া ব্রণ সরাতে কিংবা মুখোমন্ডলের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমাতেও কলার বিকল্প কিছু নেই। 

মুখমণ্ডলের আদ্রতা বজায় রাখা এবং ত্বককে মসৃণ রাখার জন্য কলার ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। এবং এসব ব্যবহার ১০০% কার্যকরী। তাই আপনি চাইলে আপনার ত্বকে কলা ব্যবহার করতে পারেন এবং কলার পেস্ট তৈরি করে ঘুমানোর আগে সেটি মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে কলার মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নিতে হয় এবং ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কলার ভূমিকা কতটুকু।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ফর্সা হতে সবাই চায়। আর আপনিও যদি ফর্সা হতে চান তাহলে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ফর্সা হবেন এ বিষয় সম্পর্কে থাকছে এখনকার আলোচনা। চলুন ঘরোয়া ভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গুলো আপনি অবলম্বন করবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লেবুর ব্যবহার। নিয়মিত তকে লেবু ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ কেটে যায় এবং ত্বককে আরো উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়া হলুদের ব্যবহার বা হলুদ ব্যবহার করে বাটা হলুদ কিংবা হলুদ গুঁড়ো তাকে ব্যবহার করলে তাকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়া দুই মধু কিংবা টমেটো এর রস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বকে আরো ফর্সা করে নিতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ  ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

আশা করছি আপনি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ফর্সা হবেন এ বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আর আমি উপরোক্ত যে আলোচনাটুকু করেছি সেখান থেকে আপনি ধারণা নিয়ে সেগুলোর পেজ তৈরি করে নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করবেন তাহলে আশা করছি আপনার ত্বক আরো উজ্জ্বল হবে এবং এই পদক্ষেপগুলো পরীক্ষিত। 

সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়?

খাবারের নিয়ম তান্ত্রিকতায় কিংবা খাবার এর যে তালিকা থাকে সেই খাবার তালিকা বা খাবার গুলো আমাদের শরীরের উপর অনেক প্রভাব ফেলে এবং এর পাশাপাশি আমাদের ত্বকের উপরেও অনেক প্রভাব ফেলে। তাই সকালে খালি পেটে কি খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় এ ব্যাপারে যদি আপনার কোন ধারনা থাকে তাহলে চলুন আলোচনা করার চেষ্টা করি যে সকালে যে সকল খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার ত্বক ফর্সা হবে। 

প্রথমত সকালে আপনাকে খালি পেটে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এবং এর পাশাপাশি কাঁচা ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর আপনি যদি এই অভ্যাসগুলোকে নিয়ম তান্ত্রিকতার মধ্যে আনতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সক্ষম হবেন। এছাড়া খালি পেটে গ্রিন টি, টমেটো, কলা, বাদাম, গাজর ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

কাঁচা হলুদ খেলে কি গায়ের রং ফর্সা হয়?

আপনারা প্রচলিত বিয়ে বাড়িতে বিভিন্ন হলুদের অনুষ্ঠান দেখে থাকবেন যাকে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান বলা হয়ে থাকে। তবে আপনি কি জানেন ? গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বর এবং কনেকে কেন গায়ে হলুদ লাগানো হয় ? কেননা কাঁচা হলুদ শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেটি মানুষের ত্বকের রং কে আরো বেশি ফর্সা করে। এবং আপনারা জেনে অবাক হবেন যে কাঁচা হলুদ মানুষের ত্বককে আরো ফর্সা করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ  দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

তাই অনেকেই ত্বকের বা রূপচর্চার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকেন। তাই আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা করতে চান বা আপনার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে কাঁচা হলুদের বিকল্প কিছু হতে পারে না। তাই নিয়ম করে আপনি প্রতি নিয়ত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন এবং কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে বা পেস্ট করে আপনার মুখমণ্ডল এবং শরীরের আরও বেশি উজ্জ্বল করতে চান সে অংশে ব্যবহার করুন। 

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য আপনি পানি জাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। খাবার বিধি বা খাবার তালিকার ক্ষেত্রে যে সকল খাবারে তেলের পরিমাণ কমছে সকল খাবারগুলোকে তালিকায় রাখা উচিত। এতে করে আপনার ত্বক বা শরীরে আরো চর্বি যুক্ত হবে না। ভাজাপোড়া খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন এবং প্রচুর পরিমাণে শসা বা শসা জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া অধিক পানি পান করুন । এছাড়া প্রতিদিন দুইবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ত্বকে বা মুখমন্ডলে আসা অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। 


এবং আপনি অনেক রিফ্রেসমেন্ট মোমেন্ট পাবেন। আপনি যদি উপরোক্ত কার্যক্রম বা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসেই রূপচর্চা করতে পারবেন এবং আপনার ত্বকে থাকা ব্রণ এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করতে পারবেন। এই পোস্টটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url