হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে? যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
কোন খাবার হিমোগ্লোবিন বাড়ায়? যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। গর্ভাবস্থায় কোন খাবার হিমোগ্লোবিন বাড়ায়?
প্রাণীজ প্রোটিন আমাদের রক্তে দ্রুত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে। সব ধরনের লাল মাংসই অন্যতম সেরা উৎস। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে গরুর মাংস, গরুর মাংস ও কলিজা নিয়মিত খেতে পারেন।
নিচের যে আলোচ্য বিষয় পড়তে চান ক্লিক করুনঃ
- কোন খাবার খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াবে
- কত হিমোগ্লোবিন রক্ত দিতে হবে?
- গর্ভাবস্থায় কোন খাবার হিমোগ্লোবিন বাড়ায়?
- যে কোনো মাছেই হিমোগ্লোবিন বাড়ে
- রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
- হিমোগ্লোবিন কম হলে কী খাওয়া উচিত নয়?
- রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ কী?
- হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত
- রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ইনজেকশন
কোন খাবার খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াবে
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:
পালং শাক, শাক, ব্রকলি
লাল মাংস (গরুর মাংস), মুরগির মাংস, মাছ
ডাল, ছোলা, মটরশুটি
কাজুবাদাম, কিসমিস, খেজুর
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার:
কমলা, লেবুর মতো সাইট্রাস ফল
পালং শাক, লেটুস, ব্রকলি
ভিটামিন বি 12 সমৃদ্ধ খাবার:
ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
কমলা, লেবু, এপ্রিকট, স্ট্রবেরি
ব্রকলি, টমেটো, পালং শাক
আরো পড়ুনঃ কিডনি পরিষ্কার রাখে যেসকল খাবার কিডনি পরিষ্কার করে এমন ৯ খাবার সম্পর্কে জানুন
কত হিমোগ্লোবিন রক্ত দিতে হবে?
যদি গর্ভবতী মহিলারা অপুষ্টিতে ভোগেন এবং তাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে; তখন পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়। হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্তে রক্তের ক্ষয় হয়। শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেনের অভাবে শরীরে শক্তির অভাব হয়। ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়।
হিমোগ্লোবিন আসলে লোহিত রক্ত কণিকায় পাওয়া প্রোটিন। এর কাজ শরীরের কোষ এবং টিস্যুতে অক্সিজেন বহন করা। হিমোগ্লোবিনের নিম্ন স্তরকে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি বলা হয়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি সহজেই নির্ণয় করা যায়।
পুরুষদের জন্য: যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 7-8 g/dL বা তার কম হয়, তাহলে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে।
মহিলাদের জন্য: যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 6-7 g/dL বা তার কম হয়, তাহলে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলা এবং কম হিমোগ্লোবিন মাত্রার শিশুদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে। ডাক্তার রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরো পড়ুনঃ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যা যা খাবেন হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবারসমূহ
গর্ভাবস্থায় কোন খাবার হিমোগ্লোবিন বাড়ায়?
• লাল মাংস (যেমন গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস) - এই খাবারগুলিতে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
• হাঁস-মুরগি এবং মাছ - এতে রয়েছে হিম আয়রন যা শরীর দ্বারা সহজেই শোষিত হয়।
• শাকসবজি (যেমন পালং শাক, মেথি)- এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট থাকে যা রক্ত গঠনে সাহায্য করে।
• ডাল এবং মটরশুটি - আয়রন, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
• বাদাম এবং বীজ (যেমন কুমড়ার বীজ, তিল) - আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।
• ফল (যেমন আপেল, আঙ্গুর, কিশমিশ, খেজুর) - এগুলি আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
• শুকনো ফল (যেমন কাজু, বাদাম, আখরোট) - এগুলি আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
যে কোনো মাছেই হিমোগ্লোবিন বাড়ে
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ এবং অন্যান্য খাবার পর্যাপ্ত আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই যাদের আগে থেকেই রক্তস্বল্পতা বা রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত চিংড়ি, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে।
• স্যামন - এটি আয়রন, ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি -12 সমৃদ্ধ যা রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
• টুনা - এটি আয়রনের একটি ভাল উৎস এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্ত গঠনে সাহায্য করে।
• সার্ডিনস- সার্ডিনে আয়রনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি থাকে।
• ইলিশ মাছ (ইলিশ/ইলিশ) - এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাছ এবং এতে রয়েছে আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
• ম্যাকেরেল - ম্যাকেরেল এছাড়াও আয়রন এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা রক্তের জন্য ভাল।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী ওজন শিশুর খাবার তালিকা
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
• অত্যধিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতা - শরীর শক্তি হারায়, এবং দৈনন্দিন কাজগুলি করতে খুব ক্লান্ত বোধ করে।
• শ্বাসকষ্ট- হিমোগ্লোবিন কম হলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে হাঁটতে বা সামান্য কাজ করার সময় শ্বাসকষ্ট হয়।
• মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যাথা - শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যাথা হতে পারে।
• হালকা বা ফ্যাকাশে ত্বক - কমে যাওয়া হিমোগ্লোবিন ত্বক হালকা বা ফ্যাকাশে হতে পারে।
• হাতে-পায়ে ঠান্ডা লাগা – শরীরে অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের কারণে হাত-পা ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।
• হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি - যখন হিমোগ্লোবিন কম থাকে, তখন হৃৎপিণ্ড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য দ্রুত কাজ করে, ফলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়।
• বুকে ব্যথা - রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
• নখের পরিবর্তন - নখ ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে বা আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে।
• অধৈর্যতা বা মেজাজের পরিবর্তন - শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে মেজাজের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
• ঘনত্ব হ্রাস - মনোযোগের অভাব বা একাগ্রতা হ্রাস পেতে পারে।
• ক্লান্তি ও দুর্বলতা: শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়। সামান্য কাজ করার পর আপনি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন।
• মাথা ঘোরা এবং ঝাপসা দৃষ্টি: হিমোগ্লোবিন কমে গেলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেলে মাথা ঘোরা এবং ঝাপসা দৃষ্টি দেখা দিতে পারে।
• ফ্যাকাশে বা ফ্যাকাশে ত্বক: হিমোগ্লোবিন কমে গেলে ত্বক ফ্যাকাশে বা ফ্যাকাশে হতে পারে।
• চুল পড়া এবং নখ ভঙ্গুর হওয়া: হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় চুল পড়া এবং নখ ভঙ্গুর হতে পারে।
• চোখের পাতা ছিঁড়ে যাওয়া: হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও চোখের পাতা ছিঁড়ে যেতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কম হলে কী খাওয়া উচিত নয়?
• ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: যেমন দুধ, পনির, দই। ক্যালসিয়াম আয়রনের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে, তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে এগুলো না নেওয়াই ভালো।
• ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: যেমন চা, কফি এবং ঠান্ডা পানীয়। তারা লোহার শোষণকে বাধা দেয়, বিশেষত যখন খাবারের সাথে নেওয়া হয়।
• ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: যেমন পুরো শস্য, ভুসি (গমের ভুসি), এবং কিছু শাকসবজি। অতিরিক্ত ফাইবার শরীরের আয়রন শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
• ফাইটেট সমৃদ্ধ খাবার: যেমন বাদাম, বীজ এবং কিছু শস্য। ফাইটেট আয়রন শোষণকে বাধা দিতে পারে।
• অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: যেমন পালং শাক, বিট, চকোলেট এবং কিছু চা। অক্সালেট আয়রন শোষণ কমাতে পারে।
• অতিরিক্ত ভিটামিন সি: যদিও ভিটামিন সি সাধারণত আয়রন শোষণে সাহায্য করে, অতিরিক্ত ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কিছু লোকের বিপরীতে প্রভাব পড়তে পারে।
• অ্যালকোহল: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের আয়রন শোষণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ কী?
আয়রনের ঘাটতি: শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায়। আয়রনের ঘাটতি রক্তশূন্যতার অন্যতম প্রধান কারণ, যা আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের অভাব, হজমের সমস্যা বা অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে হতে পারে।
ভিটামিন B12 বা ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি: এই ভিটামিনগুলি হিমোগ্লোবিন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি 12 বা ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি হেমাটোপয়েসিস (রক্ত কোষ তৈরির প্রক্রিয়া) সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রক্তপাত: অত্যধিক বা দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত (যেমন, পিরিয়ডের সময় ভারী রক্তপাত, আলসার, ট্রমা বা সার্জারি) রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
অস্থিমজ্জা রোগ: অস্থি মজ্জা রক্তের কোষ তৈরি করে। অস্থি মজ্জার রোগ (যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা লিউকেমিয়া) হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা প্রদাহ: দীর্ঘস্থায়ী রোগ (যেমন কিডনি রোগ, ক্যান্সার, বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস) বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রক্তের কোষের উৎপাদন এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে।
জেনেটিক বা বংশগত কারণ: কিছু জেনেটিক বা বংশগত রোগ (যেমন থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া) হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে এবং রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে।
হিমোগ্লোবিন উৎপাদন কমে যাওয়া: প্রাকৃতিক হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা বা কমে গেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
অটোইমিউন রোগ: কিছু অটোইমিউন রোগ (যেমন অটোইমিউন হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া) শরীরের নিজস্ব রক্তকণিকা ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়।
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায়, শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পর্যাপ্ত আয়রন সরবরাহ না হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
খারাপ খাদ্য: পুষ্টির ঘাটতি বা সুষম খাদ্য না খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হতে পারে।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণতঃ
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য: 13.8 থেকে 17.2 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জন্য: 12.1 থেকে 15.1 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য: স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সামান্য কম হতে পারে, সাধারণত 11 থেকে 14 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)।
নবজাতকের জন্য: 14 থেকে 24 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
6 মাস থেকে 5 বছর বয়সী শিশুদের জন্য: 11 থেকে 14 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
6 থেকে 12 বছর বয়সী শিশুদের জন্য: 11.5 থেকে 15.5 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এই সীমার নীচে থাকে তবে এটিকে কম হিমোগ্লোবিন বা রক্তাল্পতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম মনে হলে বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ইনজেকশন
• আয়রন সুক্রোজ: আয়রন সুক্রোজ ইনজেকশন প্রায়ই আয়রনের ঘাটতির জন্য ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। এটি একটি শিরা মধ্যে ধীরে ধীরে ইনজেকশনের হয়।
• আয়রন ডেক্সট্রান: এটি একটি উচ্চ-ডোজ আয়রন ইনজেকশন যা দ্রুত আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত শুধুমাত্র হাসপাতালের সেটিংয়ে দেওয়া হয় কারণ এটি অ্যালার্জির ঝুঁকি বহন করে।
• ফেরিক গ্লুকোনেট: দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ডায়ালাইসিসের সময় আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে হলে এই ধরনের আয়রন ব্যবহার করা হয়।
• এরিথ্রোপয়েটিন: যদিও সরাসরি আয়রন ইনজেকশন নয়, এটি কিডনিতে উৎপন্ন একটি হরমোন যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত কিডনি রোগ বা ক্যান্সারের চিকিত্সার কারণে অ্যানিমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।